ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর। ছাত্র অধিকার পরিষদ সম্প্রতি এই বিষয়ে আলটিমেটাম দেওয়ার পর, রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে মতভেদ করছে। তবে সরকার জানিয়েছে, একক সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এখনও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ও বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ এই দাবির পুরোধায় থাকলেও, বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী দলের মতো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ছাত্রলীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা জানান, এ বিষয়ে কোনো একক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক দল সম্মতি দিলেও বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী দল এ নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, তবে অপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত।
আদালতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার একটি রিট খারিজ হয়ে গেছে, যেখানে বিচারপতিরা রিটটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে রায় দেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছর ধরে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের কারণে দলটির রাজনৈতিক অধিকার হারানোর দাবি উঠছে। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থসহ আরও অনেকেই আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়লেও, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এবং সংলাপের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত দলটি নিষিদ্ধ না হলেও, নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার বিষয়ে মতৈক্য গড়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক