গত ০৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সিলেট কোতয়ালী থানার ক্বীন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ছাত্র জনতা কোটা বিরোধী আন্দোলনরত অবস্থায় ছিলেন। এ সময় বিগত সরকারের কিছু কর্মী ও সমর্থকরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর এলোপাতারি আক্রমণ ও গুলি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী পংকজ কুমারের পেটে গুলি লাগলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেটের একটি আভিযানিক দল বুধবার (৩০ অক্টোবর) অনুমানিক ৩টা ৩০মিনিটের সময় সিলেট কোতয়ালী থানার বন্দর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গত ২৮ আগস্ট কোতয়ালী থানায় এফআইআর নং- ৩৩/৩৮৮, ধারা: ১৪৮/ ১৪৯/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩০২/ ১০৯/ ১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০) এর অন্যতম পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার শাহজিরগাঁও গ্রামের মৃত আরজান আলীর পুত্র ও বিশ্বনাথ থানা পৌর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিক আলী (৪২)। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় অপহরণ মামলা রয়েছে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে এসএমপি সিলেট কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উপরোক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সিলেট র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল।
বুলবুল আহমেদ