মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার কমলগঞ্জের ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই কলেজ শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার কারণ ছিল রাস্তা পারাপারের সময় একটি শিশুকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা।
দুর্ঘটনা ঘটে আজ বুধবার সকালবেলায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটতলা এলাকায়। সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় থাকা শিক্ষার্থীরা শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ সরকারি কলেজে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে রাস্তা পারাপারের সময় একটি শিশু সামনে চলে আসলে অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং একটি গাছে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিক্সাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজদিহি এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান, এবং ভাগলপুর এলাকার রবি সূত্রধরের ছেলে অমিত সূত্রধর (১৮) সিলেট হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
আহতদের মধ্যে আছেন মাইজদিহি এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (১৮), গিরিন্দ্র দেবের ছেলে সৈকত দেব (১৮), পূর্ব মাইজদিহি গ্রামের আলামাছ মিয়ার ছেলে রাব্বী (১৮), সিএনজি চালক জুয়েল আহমদ (২০) এবং ভানুগাছ বাজারের সুলেমান মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল (১১)। তাদেরকে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় অটোরিক্সার চালক শিশুটিকে আঘাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে দ্রুত ব্রেক কষলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে সজোরে ধাক্কা লাগে। কমলগঞ্জ থানার ওসি ইফতেখার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলেই সায়েমের মৃত্যু হয়েছে এবং অমিতকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।