নবীগঞ্জের আউশকান্দিতে ফ্লিম স্টাইলে মিনাজপুর গ্রামের সন্ত্রাসী লায়লুছ তিনটি সিএনজি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে মিঠাপুর গ্রামে ঢুকে সংখ্যালঘু পরিবারের নারী সহ আহত করেছে ৭ জনকে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় কাতার প্রবাসী রুহেল মিয়া (৪০)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এবং সংখ্যালঘু মহিলাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত তজমুল হক (৭০), নোমান মিয়া (২৮), হাফিজুর মিয়া (২৭), জুবেল মিয়া (২৬)কে স্থানীয় আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত বুধবার (১০ জুলাই) অনুমান ৩টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা বাজারের ভিতর দিয়ে আউশকান্দি পয়েন্টে যাওয়ার পথিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামন দিয়ে মিঠাপুর গ্রামের ও আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তজমুল হক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় একটি সিএনজি অটোরিক্সা ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশ্বের ইটের উপরে ফেলে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠান। এবং ঐ দূর্ঘটনার সময় ২/৩ জন লোক দেখে হৈই হুল্লা শুরু করলে সাথে সাথে এর সমাধান করে দেন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ সহ আরো অনেকেই।
কিন্তু এ ঘটনার অল্প কিছু সময় যেতে না যেতেই মিনাজপুর গ্রামের সন্ত্রাসী লায়লুছ ও তার ছেলে মিলে তিনটি সিএনজি যোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আরো কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে মিঠাপুর গ্রামে ডুকে যাকে রাস্তায় পাইছে তার উপরেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদরক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর-বাড়িতে ভাংচুর করে এক নববধূর উপর হামলা করে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আহত লোকজনের চিৎকারে পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজন সহ প্রবাসী রুহেল মিয়া এগিয়ে আসা মাত্রই তার মাথায় আঘাত করে রক্ষাক্ত জখমী করে সিএনজি নিয়ে বিরদর্পে চলে যায়। এ ঘটনার খবর মিঠাপুর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে বাজার এলাকায় প্রতিবাদ মূখর হয়ে ওঠেন। এ সময় ঘটনাস্থলে নবীগঞ্জ থানার এস,আই গৌতম দাশ উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ উত্তেজিত ঘটনার বেগতিক দেখে পরিস্থিতি শান্ত করতে ফোন করে থানা থেকে আরো পুলিশ আনেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী সন্ত্রাসী হামলায় মূল হুতা লায়লুছকে ধরতে আউশকান্দি মাদ্রাসা পয়েন্টের দিকে লাটি সোটা নিয়ে দৌড়াতে থাকেন।
এতে, পুরো বাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে মধ্য বাজার থেকে বাজার ব্যবসায়ী, আশপাশের লোকজন ও থানা পুলিশের কঠোর হস্তক্ষেপ অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করে উত্তেজিত গ্রামবাসীকে ফিরিয়ে আনেন। ঐ দিন রাতই গ্রামবাসী এক জরুরী বৈঠক ডাকেন। এতে সবার সম্মতিক্রমে আইনকে শ্রদ্ধা করে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনায় কেহ না জড়াতে আহবান করা হয়। এবং পরদিন থানায় নবীগঞ্জ থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুক আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি আহত লোকজনের ঘর- বাড়িতে গিয়ে তাদের অবস্থা দেখেন। এবং শান্তনা দিয়ে বলেন, আইনের উর্ধে কেউ নয়। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি