চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে বাকি মাত্র তিন মাস, কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে টুর্নামেন্ট আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারতের আপত্তিতে আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মতবিরোধ নতুন কিছু নয়, তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ জটিল। পাকিস্তানে খেলতে রাজি নয় ভারত, তাই আইসিসি চাপ দিচ্ছে ‘হাইব্রিড’ মডেলের। এমন অবস্থায় পিসিবি ও বিসিসিআইয়ের দ্বন্দ্ব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
ভারতের আপত্তি ও হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব: ভারত সাফ জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না, তাই বিসিসিআই ‘হাইব্রিড’ মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রথমে এতে অসম্মতি জানালেও আইসিসি পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেল গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছে। হাইব্রিড মডেলের অধীনে কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে এবং বাকিগুলো নিরপেক্ষ স্থানে হবে।
পিসিবির প্রতিক্রিয়া: পিসিবি সভাপতি মোহসিন নাকভি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবে যদি হাইব্রিড মডেল চাপানো হয়। এমনকি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারও পিসিবিকে খেলতে নিষেধ করতে পারে বলে খবর এসেছে।
বিকল্প আয়োজক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার ভাবনা: আইসিসি সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন না করে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কয়েকটি নিরপেক্ষ দেশ এই দায়িত্ব নিতে পারে। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে শীর্ষে রয়েছে।
সম্ভাব্য প্রতিযোগিতা বাতিলের আশঙ্কা: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নির্ধারিত সময়ে আয়োজন না হলে তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা হবে। টুর্নামেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলে ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এটি হতাশার বিষয় হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিসিআই সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় পাকিস্তানে দল পাঠাতে পারছে না। আইসিসি চায় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করতে। ডিসেম্বরের প্রথমে আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহ দায়িত্ব নেবেন এবং এ সমস্যার সমাধানে তিনি কী পদক্ষেপ নেন তা নিয়ে সবার আগ্রহ রয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনের প্রশ্নে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আবারো বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করিয়েছে। যদি পিসিবি হাইব্রিড মডেল না মেনে নেয় এবং বিসিসিআই পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আইসিসি বাধ্য হয়ে টুর্নামেন্ট অন্য দেশে সরিয়ে নিতে পারে। দ্রুত সমাধান না বের হলে, ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো বড় একটি টুর্নামেন্ট হাতছাড়া হতে দেখবেন।
খেলাধুলা ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪