সিলেট বিভাগের বিল ও হাওর খনন, বুড়িকিয়ারী বাঁধ অবসারণ, হাওরে জলজ উদ্ভিদ রোপন ও বন্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ই জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক আ স ম সালেহ সুহেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব খছরু চৌধুরীর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ, কাউয়াদিঘী হাওর রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষক নেতা আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক হোসাইন আহমদ, লোকমান খাঁন নবিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস, বাপা সাধারণ সম্পাদক শিব প্রসঞ্জ ভট্টাচার্য, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস ঘোষ, আমার গৌরভ ফাউন্ডেশনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আলতাফুর রহমান, মাওলানা মকবুল হোসেন খাঁন, আখাইলকুড়া ইউনিয়নের কৃষক নেতা লোকমান খাঁন নবিন, আব্দুল লতিফ, সামছুদ্দিন মাস্টার, রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সামছুল হক, হাকালুকি হাওর পারের কৃষক মো: এলাইছ মিয়া, মানিকুল ইসলাম রহম, কৃষক নেতা লায়েক আহমদ, রেজাউল করিম বেগ ও ছাত্র প্রতিনিধি আবু তালেব চৌধুরীসহ কৃষক, শ্রমিক, হাওর পারের বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, মৌলভীবাজারকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে হলে পরিকল্পিতভাবে এ জেলার হাওর, নদী, খাল ও বিল খনন করতে হবে। বিশেষ করে হাকালুকি হাওরের বুড়িকিয়ারী বাঁধ অপসারণের দাবি জোড়ালো ভাবে উপস্থাপন করেন বক্তারা।
তারা আরো বলেন, বন্যা এলে তাড়াহুড়া করে অস্থায়ী কিছু কাজ হয়। পরবর্তীতে আর কোনো কাজ হয়নি। কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ভুলে যান। মাঝেমধ্যে খননের জন্য বরাদ্দ এলেও এ কাজ পরিপূর্ণভাবে করা হয়নি। হরিলুট হয়ে যায়। বন্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজারে জনপ্রতিনিধিদের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই। এদিকে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বন্যার জন্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের বাঁধকে দায়ি করেন বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, হাওরকে ধ্বংস করার জন্য শিল্পপতিরা হাওরের মধ্যে কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছেন। আমরা জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে তারা অনেক জায়গা কিনেছেন। হাওরের মধ্যে কোনো অবস্থাতে এ জেলার কৃষকরা কারখানা স্থাপন করতে দেবেন না।
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি