যুক্তরাজ্যের কারাগারগুলোতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কয়েক হাজার কয়েদিকে সাজা পূরণ হওয়ার আগেই মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নতুন বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। পুরুষ কয়েদিদের জন্য ব্রিটিশ কারাগারগুলোতে মাত্র ৭০০টি জায়গা খালি রয়েছে, যা ২০২৩ সাল থেকেই প্রায় পূর্ণ অবস্থায় ছিল।
ব্রিটিশ সরকার নতুন কয়েদিদের রাখার জন্য পুরোনো কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যথায়, দেশটির আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কারাগারগুলোতে মাথাপিছু বন্দির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চার বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত সহিংস অপরাধী, যৌন অপরাধী, গার্হস্থ্য নির্যাতনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য আগাম মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।
কারাগারের প্রধান পরিদর্শক চার্লি টেলর জানিয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যের কারাগারগুলো ‘ব্রেকিং পয়েন্টে’ রয়েছে এবং এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। শাবানা মাহমুদ সতর্ক করে বলেছেন, কারাগারগুলোতে জায়গা ফুরিয়ে গেলে ‘বিপজ্জনক লোকভর্তি’ গাড়িগুলো সারা দেশে ঘুরে বেড়াতে পারে, কারণ তখন সেগুলোর যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না।
সরকারি পরিকল্পনা অনুসারে, অর্ধেক সাজা ভোগ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য বন্দিদের আগাম মুক্তি দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে মোট বন্দির সংখ্যা ছিল ৮৭,৫০৫ জন, যার মধ্যে ৮৩,৮০০ জনের বেশি পুরুষ।
যুক্তরাজ্যের কারাগার সংকট মোকাবিলায় বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদের এ সিদ্ধান্ত এক জরুরি পদক্ষেপ। তবে সহিংস অপরাধী এবং গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তদের জন্য এই আগাম মুক্তির ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের নেওয়া এ পদক্ষেপের কার্যকারিতা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪