হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি সদস্যের লোকজন নূর মোহাম্মদ মিয়াকে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বানিয়াচং উপজেলার মজলিসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত নূর মোহাম্মদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ ও সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বানিয়াচং উপজেলার ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের মজলিসপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে নূর মোহাম্মদ (৬৬) মাতাপুর মহল্লার ব্রিজ অতিক্রম করার পর তার উপর হামলা হয়। ইউপি সদস্য মুনসুর মিয়ার লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরে তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা নূর মোহাম্মদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। ইউপি সদস্য মুনসুর মিয়া তার চাচা শ্বশুর নূর মোহাম্মদকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। এর আগে মসজিদের মুতাওয়াল্লী নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হয়েছিলেন। বিষয়টি সালিশে সমাধান হলেও পুরনো বিরোধ থেকেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনী মজলিসপুর গ্রামে টহল শুরু করেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।
আহত নূর মোহাম্মদের পুত্র শোভন জানান, তার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকাবাসী প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের তৎপরতা না বাড়ালে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ অনিবার্য। বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)