চট্টগ্রমের কর্ণফুলীতে ছিনতাই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে যৌথবাহিনীকে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বড়উঠান ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় যাত্রী সেজে ছিনতাই করার সময় স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে। এ ঘটনায় সিএনজির ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পটিয়া জিরি ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ মেম্বারের বাড়ির ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২১), একই এলাকার গুরামিয়ার ছেলে মো. মাহবুবুল আলম (২২) এবং পটিয়া কুসুমপুরা এলাকার পেয়ার আহমেদের ছেলে আবু বক্কর (২২)। তাদের মধ্যে জড়িত মাহবুবুল আলম নামে আরও একজন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশরাফা ইসলাম রাহি (২৪) নামে এক নারী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আশরাফা ইসলাম রাহি (২৪) কর্ণফুলী ইপিজেডের পার্ক বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিক। সে গত ২৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ডিউটি শেষ করে নিজ বাড়ি সাতকানিয়া চলে যায়। পরে ৩০ নভেম্বর ডিউটিতে আসার জন্য সাতকানিয়া থেকে ঈগল বাস যোগে শিকলবাহা ক্রসিং আসেন। পরবর্তীতে ঘটনার সময় টানেল হয়ে নিজ কর্মস্থল পতেঙ্গা যাওয়ার জন্য ক্রসিং থেকে সিএনজিতে উঠলে আসামিরা ওই নারীকে মুখ চেপে ধরে তার মোবাইল ছিনতাইয়ের জন্য ধস্তাধস্তি করেন। এরপর আসামিরা ওই নারীকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন। পরে আসামিদের সঙ্গে ওই নারীর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সিএনজিটি বড়উঠান ৪ নম্বর ওয়ার্ড চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় পৌঁছালে সিএনজি অটোরিকশাটি উল্টে যায়। স্থানীয়রা সড়ক দুর্ঘটনা মনে করে এগিয়ে আসলে ভুক্তভোগী ওই নারী স্থানীয়দের বিষয়টি বুঝিয়ে বললে স্থানীয়রা দু’জনকে আটক করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোবারক হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী নারী। তাদের মধ্যে দুইজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কর্ণফুলী প্রতিনিধি