সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক আকাশ দাস কর্তৃক কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিলেটের ডিআইজি মো: মুশফেকুর রহমান। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে দোয়ারাবাজার সদরে অবস্থিত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান,কেন্দ্রীয় ইসকনের বিভাগীয় প্রধান (মহারাজা), দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু, ছাতক-দোয়ারা সার্কেলের এএসপি রনজয় চন্দ্র মল্লিক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা মজলিসে শূরা সদস্য ও সুনামগঞ্জ -৫ ( ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে জামায়াতের এমপি পদপ্রার্থী মাও আব্দুস সালাম আল মাদানী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সামছুল হক নমু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বারী,উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ হারুন অর রশীদ,উপজেলা বিএনপি নেতা আলতাফুর রহমান খসরু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায় মানিক মাষ্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এরশাদুর রহমান মেম্বার , উপজেলা জামায়াতের নেতা আব্দুল আউয়াল,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ,যুবদল নেতা সোহেল আহমদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি প্রমুখ।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধায় দোয়ারাবাজারের মংলারগাঁও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের পুত্র আকাশ দাস (২২) নামে ওই যুবক পবিত্র কোরআন শরিফে পা-দিয়ে একটি ছবি সমাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ওই যুবকে আটক করে। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার জড় উঠলে রাতেই উপজেলা সদর ও দোয়ারাবাজার থানার আশপাশ ইসলাম প্রিয় জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)