মুক্তিযোদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সিআর দত্তের অধিনে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্মূখ যোদ্ধে যুদ্ধ করে যাদের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী মশাহিদ আলী আলোচনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযায়, গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের
মোকামপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মশাহিদ আলীর নিজ বাড়িতে বজ্রকন্ঠ অনলাইন পত্রিকা প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সৈয়দ আখতারুজ্জামান মিজান এর আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে সৈয়দ মিজানের সভাপতিত্বে শুরুতেই সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এবং কুশিয়ারা সাহিত্য ফেরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ আলমগীর এর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম, সাংবাদিক নো: ছাদিকুল ইসলাম, নিউ প্রেসক্লাবের আহবায়ক ক্বারী আব্দুল কাইয়ুম প্রমূখ। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
নবীগঞ্জ জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্তর্ভুক্ত নবীগঞ্জ অন লাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ নিউ প্রেসক্লাবের যুগ্ন আহবায়ক সফিকুল ইসলাম নাহিদ, সদস্য সচিব বাদল আহমেদ সহ আরো বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সিআর দত্তের অধিনে সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্মূখ যোদ্ধে যুদ্ধ করে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী মশাহিদ আলী।
এ ব্যাপারে, সিলেট তথ্যা হবিগঞ্জে এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা মশাহিদ আলী যেমন বৈষম্যের কারণে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধা আপচুস করে সৈয়দ মিজান বলেন, আমিও তো সাধারণ একজন মুক্তিযোদ্ধা বটে। যিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধের কর্ণধার, আমাদের সিলেট তথ্যা সারাদেশের অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউল গনি ওসমানী না থাকলে হয় তো সে সময় মুক্তিযোদ্ধটাই সংঘটিত হতো না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, এই বীরের কোন স্মৃতি বা আত্মকথা স্বাধীনতার ৫২ বছরেও কোন সরকারই লিপিবন্ধ করেনি। আপসোস ওসমানী সাহেবের নাম মুছে বা হারিয়ে ফেলার জন্য আমরা লজ্জিত। তিনি এ দেশের জন্য জীবন যৌবন বাজী রেখে মুক্তিযোদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালায়ের প্রধান শিক্ষক তার বক্তব্যে বলেন, এই মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কয়েকবার সংবর্ধনা দিয়েছি। এবং তিনি ছাত্র সমাজকে জানিয়ে দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবর্ধিত ব্যাক্তি শাহ মশাহিদ আলী বক্তব্যে বলেন, আমি যুদ্ধের পর থেকে আজ অবদী দেশ, সমাজ ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছি। আমি কোন পদ পদবী বা নাম কামানোর জন্য এসব করি নি বা করার ইচ্ছাও নাই। পরিশেষে বজ্রকন্ঠ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ আখতারুজ্জামান মিজানের বক্তব্যে অনুষ্ঠান সমাপ্তি করে এক মদ্ধন্যভোজনের আয়োজন করা হয়।
নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ