রবিবার যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ অংশে ঝড় দারাঘের তাণ্ডবে প্রায় ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৭০ মাইল পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা পরিবহন ব্যবস্থা ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চরম বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
মেট অফিসের তথ্যমতে, ঝড় দারাঘের প্রভাবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শক্তিশালী বাতাস ও বৃষ্টিপাতের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
ঝড় দারাঘ রবিবার সকাল থেকেই যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ অংশে আঘাত হানে। ঘণ্টায় ৭০ মাইল বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক জায়গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মেট অফিস সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করে।
এনার্জি নেটওয়ার্ক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। তবে ইতিমধ্যে ৮৮ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। ন্যাশনাল গ্রিড জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে এখনও ১৫,০০০ এবং ওয়েলসে ৫৮,০০০ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
ঝড় দারাঘের মতো চরম আবহাওয়া নিয়ে সরকারের প্রস্তুতির অভাব উল্লেখ করে এমা পিঞ্চবেক বলেন, “বন্যা প্রতিরক্ষা ও পরিকাঠামো উন্নত না হলে ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।” এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি ইংল্যান্ডে ৫০টির বেশি এবং ওয়েলসে ২০টি বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। তাছাড়া ১৩০টিরও বেশি বন্যা সতর্কতা এখনও সক্রিয় রয়েছে। মেট অফিসের আবহাওয়াবিদ অ্যালেক্স বার্কিল জানিয়েছেন, ঝড় দারাঘ কিছুটা শান্ত হলেও পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
ঝড় দারাঘ যুক্তরাজ্যের জনজীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ চললেও পরিবহন ব্যবস্থা ও আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনও চ্যালেঞ্জিং। এ ধরনের চরম আবহাওয়ার জন্য আগাম প্রস্তুতির গুরুত্ব এখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিলাক্স নিউজ ২৪