বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর পুলিশ ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার পর সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে ৮ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ঘিরে ধরলে তারা ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১১টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিটি শাটডউট’ কর্মসূচি নিয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ অ্যাকশনে গেলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ শুরু করে এবং সংঘর্ষ বাধে। শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইট পাটকেলের ফলে পুলিশ সদস্যরা আশেপাশের দোকানপাটে আশ্রয় নেন। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে মহাসড়কে এসে পুলিশকে ঘিরে ধরে। কোণঠাসা হয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা দিয়ে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু পর্যন্ত এগিয়ে দেয়।
সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে ছিল র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিয়ে জানায়, ১২টা ২০ মিনিটের মধ্যে দাবি মানা না হলে সংঘর্ষ হবে। সময় পার হলে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ক্যাম্পাস এবং আশেপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশের ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করা পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করেছে, তবে এ ধরনের ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪