দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দামে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ছয়টি মুখ্য কারণ এই অস্থিরতার পেছনে ভূমিকা পালন করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর হওয়ায় ঋণ পরিশোধের শিডিউলের কারণে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) লক্ষ্যপূরণে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা জোগান সংকটের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ইউপাস এলসি খোলা ও পেমেন্ট ডেফার্ডে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বৈদেশিক দেনা পরিশোধের সময়সূচি মুদ্রাবাজারে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে। অ্যাগ্রিগেটর এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের হার অস্থিতিশীল হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইনফ্লো এবং আউটফ্লোর মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাব অস্থিরতা বৃদ্ধি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ১২৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। ক্রস কারেন্সি ক্ষেত্রে এই হিসাবের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ড্যাশবোর্ড এবং ডাটা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে মনিটরিং ব্যবস্থা, ডলারের নির্ধারিত বিনিময় হার এবং বাজার পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্য। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে।
অনলাইন ডেস্ক