সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠা মানুষদের ৪টি সমস্যা হয়ে থাকে। কোনো মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাস, বিশেষ করে তাদের ঘুমের সময়, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষত যারা নিয়মিত সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা তাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। এদের মধ্যে কিছু শারীরিক, কিছু মানসিক, আবার কিছু আচরণগত সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।
১) কথায় কথায় রেগে যাওয়া:
সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এটি এক ধরনের মানসিক অবস্থা যা দিনব্যাপী স্নায়ুতে চাপ তৈরি করে এবং তাদের কথা বলার ধরণেও প্রভাব ফেলে। বিশেষত এমন লোকেরা সহজেই উত্তেজিত হয়ে যান, যা তাদের পারিবারিক ও পেশাগত জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে।
২) খুদা খুব কম লাগা এবং খুব রোগা হয়ে যাওয়া:
সকালে দেরিতে ওঠার কারণে শরীরের মেটাবলিজম সঠিকভাবে কাজ করে না। তাদের ক্ষুধা কম লাগে এবং তারা খুব রোগা পাতলা হয়ে থাকে। এটা মূলত শরীরের শারীরিক কার্যাবলীর অসামঞ্জস্যতার ফলস্বরূপ।
৩) বহু চিন্তা কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া:
এমন লোকেরা সাধারণত বেশ কিছু পরিকল্পনা ও চিন্তা করেন, কিন্তু সেগুলি বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হন। সকাল সকাল উঠতে না পারার কারণে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত হয়, এবং পরিকল্পনা করার পরও এগুলিকে কার্যকরী পদক্ষেপে রূপান্তরিত করতে তারা ব্যর্থ হন।
৪) অলসতা এবং মনোযোগের অভাব:
সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে, পুরো দিনের কার্যকলাপে অলসতা ও মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যায় এবং দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয় কিছু না করার মধ্যে।
এই অভ্যাসগুলো দীর্ঘমেয়াদী হয়ে গেলে, মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে। নিয়মিতভাবে সকালে উঠতে না পারা স্নায়ুতন্ত্রের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং জীবনযাত্রার মানও হ্রাস পায়।
সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং সকালে সঠিক সময়ে উঠে সকালের কাজগুলি শুরু করার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ফলে শরীর এবং মন, উভয়ই সুস্থ থাকবে এবং জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
অনলাইন ডেস্ক