ব্যাংক খাতে লুটপাট, দখল, অনৈতিক সুবিধা প্রদান ও নানা অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টারা পালিয়ে গেছেন। বিক্ষোভের মুখে কর্মকর্তারা তাদের পদত্যাগে বাধ্য করেন। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র জমা দেন ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমানসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তা। কর্মচারীদের চাপের মুখে তারা অফিস ছাড়েন
চার ডেপুটি গভর্নর এবং আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছেন। প্রথমে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের কক্ষে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। তিনি সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লেখেন এবং স্বাক্ষর করেন। এরপর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারের কক্ষে গিয়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। তিনি কার্যালয় ত্যাগের ঘোষণা দেন। মো. খুরশীদ আলম ও মো. হাবিবুর রহমান অফিসে না থাকলেও ফোনে জানান, তারা আর অফিসে আসবেন না। ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের এবং বিএফআইইউর মাসুদ বিশ্বাসও জানান, তারা আর ব্যাংকে আসবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাহী পরিচালক-১ জাকির হোসেন চৌধুরীকে ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পরিস্থিতি একটি গুরুতর সংকট নির্দেশ করে। লুটপাট, দখল, এবং অনৈতিক সুবিধা প্রদানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং ব্যাংক ত্যাগ ব্যাংকিং খাতে এক ধাক্কা সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেবে তা দেখার বিষয়।
ডেস্ক রিপোর্ট: রিলাক্স নিউজ ২৪