বান্দরবান,লামা উপজেলা,পৌরসভা সদরের গগণ মাস্টার পাড়ার বনেদি পরিবারে বড় হয়ে উঠা চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট সুস্মিতা বড়ুয়া।পাহাড়ের উদারতা আর সবুজের চির তারুণ্য তার ভিতরে এনে দিয়েছে পবিত্র প্রশান্তি।পিতা সুমেষ বড়ুয়া অকালে মৃত্যু বরণ করলে মাতা দিপু বড়ুয়া তার বাপের বাড়িতে উঠেন আর সেখান থেকেই নতুন উদ্যামে যাত্রা শুরু করে পরিবারটি।
বর্তমানে পরিবারের সবাই স্ব স্ব অবস্থানে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুস্মিতা বড়ুয়া পড়াশোনা করছেন বাংলা সাহিত্য নিয়ে।চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী।ইচ্ছে ছিল সাধারণ মানুষের ডাক্তার হবে রোগ সারিয়ে তুলবেন সহসাই।সেই স্বপ্ন ভেঙে গেলেও ভেঙে যায়নি কন্ঠস্বর।সে এখন বাচিক শিল্পী।শিল্প,সাহিত্য নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনে পথ চলছেন।কবিতা আবৃত্তি করে সে সবার মাঝে বেঁচে থাকতে চায়।অর্জন করতে চায় সুবোধ মানুষের ভালোবাসা।ইতোমধ্যে কবিতা আবৃত্তি করে সে মননশীল মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।নজর কেড়েছেন শিল্প সাহিত্য বোদ্ধাদের।কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি সে সমান তালে নাচ গান চর্চা করছে।
সংস্কৃতির আবহে বড় হয়ে উঠা সুস্মিতা বড়ুয়ার শিল্পীসত্তার প্রেরণাধাত্রী তার মাসি রমিতা বড়ুয়া।যার হাত ধরে সাহিত্যঙ্গনে প্রবেশ।তথ্য প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে নিজ নিজ প্রতিভা প্রকাশে অনন্য এক মাধ্যম।উন্মুক্ত এই যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সুস্মিতা বড়ুয়া ‘সুস্মিতার কথামালা’ নামে ফেইসবুক ফেইজ খুলে নিয়মিত আবৃত্তি করে যাচ্ছে এতে তার অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী তাকে অনুসরণ করছে।
জুয়েল বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি