নাটোর লালপুর ঈশ্বরদী মহাসড়কে লালপুর ত্রিমোহিনী চত্বরে সকাল কিংবা বিকাল চোখে পড়বে এই যানজট নামক নরকযন্ত্রণায় লালপুরবাসি। দিনভর এই যানজটের কারণে তীব্র ক্ষোভে ভাসছে লালপুরবাসি। লালপুর বাজার ত্রিমোহন হয়ে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস, ট্রাক, মাইক্রো ও অন্যান্য যানবহন চলাচল করে। রাস্তার পার্শে সিএনজি, অটোভ্যান, ভ্যান, ইজিবাইকের কারণে যানজট লেগেই থাকে। প্রতিদিনই ছোটঘাট দুর্ঘটনা ঘটে।
যত্রতত্র অটো ভ্যান, সিএনজি সহ নানান যানবাহনের পার্কিং এর মূল কারণ বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে ঈশ্বরদী, গোপালপুর, বাঘা সড়কে সিএনজির নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকাই জনগণের ভোগান্তি চরমে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাদের দোকানের সামনে যত্রতত্র সিএনজি রাখাই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যেও অনেক সমস্যা হচ্ছে। লালপুর বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, আমাদের দোকানের সামনে সিএনজি, অটো ভ্যান গুলো জমাট বেঁধে থাকে । এতে আমাদের দোকানে কাস্টমার আসতে সমস্যা হয়। অনেক সময় কাস্টমাররা দোকানে ঢুকতে পারে না, ফিরে চলে যাই। এতে আমরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই লালপুর শাখার সভাপতি আব্দুল মোত্তালেব রায়হান বলেন, লালপুরে নির্দিষ্ট কোন বাস স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে বাসগুলো। অপরদিকে সিএনজিগুলো একই অবস্থা তারাও রাস্তার পাশেই রেখেছে গাড়ি। অটো ভ্যান গুলো যাতায়াতের রাস্তাকেই দখল করে আছে । এজন্য প্রতিটি যানবাহনেরই নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকা দরকার এবং মালিক সমিতি প্রতিনিধিদের যানজট নিদর্শনে কাজ করা উচিত। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে আমরা উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ বিষয়টি উপস্থাপন ও রেজুলেশন করে ডিসি অফিসে পাঠিয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে অস্থায়ীভাবে দুইজন ট্রাফিক পুলিশ দিয়েছিল। স্থায়ীভাবে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।