ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ডিম আমদানি। ঘোষণার দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও আসেনি একটি ডিমও। আমদানিকারকদের দাবি, ঋণপত্র খুলতে না পারায় আটকে আছে আমদানি প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে চড়া দামেই ডিম কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দাম নিয়ন্ত্রণে প্রথম দফায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে আরও ছয়টিসহ মোট ১০ প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু এতদিন পরও এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
আমদানির খবরে দুই সপ্তাহ আগে ডজনে পাঁচ টাকা কমেছিল ডিমের দাম। এখনও তা স্থির হয়ে আছে ১৪৫ টাকা ডজনে। ফলে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে না ডিমের দামে। ক্রেতারা বলছেন, দুর্মূল্যের এ বাজারে একজনের আয় দিয়ে চলা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক বাজার নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় কোনো সংস্থার হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলেও আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে এখনও অনুমতিপত্র দেয়নি। এতে ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। তাই ডিম আমদানি করা যাচ্ছে না। কবে যাবে তাও নিশ্চিত নন কেউ।
ডিম আমদানি নিয়ে প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্সের স্বত্বাধিকারী মো.নিজাম উদ্দিন জানান, ডলার ক্রাইসিসের কারণে কোনো ব্যাংক এলসি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়মিত যেসব ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিংয়ের কাজ করা হয়, তাদেরকে এলসি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সঠিক সময়ে ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে আলাদা নজর দেওয়ার তাগিদ কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)। পাশাপাশি কার্যকর বাজার তদারকির আহ্বান তাদের।
ডিম আমদানির ঘোষণা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ক্যাব সহ সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলছেন, ডিম আমদানির ঘোষণার সুফল যেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো যেন সঠিকভাবে কাজ করে তা তদারকি করতে হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দৈনিক প্রায় চার কোটি ডিমের চাহিদা। সে হিসাবে ১০ কোটি ডিম দিয়ে দুই থেকে তিন দিনের চাহিদা মেটানো যাবে।