ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সিকিমে ভ্রমণ স্থগিত করতে পর্যটকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য সরকার। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের পর বন্যায় সিকিমে অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। রাজ্যটির প্রায় ২২ হাজার মানুষের জীবন ক্ষতির মুখে ফেলেছে এই বন্যা।
বৃহস্পতিবার সিকিমের কর্মকর্তারা বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৮ বলে জানিয়েছিলেন। তবে পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজ্যের জরুরি পরিষেবার দলগুলো বন্যার পানিতে ভেসে আসা আরও ২২টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সিকিমের বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন হাজারও পর্যটক। ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, এই অঞ্চলে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এখন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আটকা পড়া পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বন্যায় আহত ২৬ জনকে সিকিমের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া লাচেন এবং লাচুং এলাকায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী সচিব বিজয় ভূষণ পাঠক বলেন, ‘বিভিন্ন যানবাহনের ৭০০ থেকে ৮০০ চালক সেখানে আটকা পড়েছেন। এ ছাড়া শুধু মোটর সাইকেলে যাওয়া ৩ হাজার ১৫০ যাত্রী সেখানে আটকা রয়েছন। আমরা তাদের বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি’। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, এক ঘণ্টায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১০ সেন্টিমিটার অথবা আধঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হলে সেটাকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি বা ক্লাউড বার্স্ট বলা হয়। মূলত সেই বৃষ্টিপাতের পর পার্বত্য সিকিম রাজ্যের লোনাক হ্রদ বুধবার উপচে পড়ে এবং এর ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।