আজ ৭ অক্টোবর। অন্যকে ক্ষমা করে সুখী হওয়ার দিন আজ। দিনটির কেতাবি নাম ‘ফরগিভনেস অ্যান্ড হ্যাপিনেস ডে’। দিনটি বেশ ঘটা করে পালিত হয় আমেরিকায়। রবার্ট ময়ার্স নামের এক মার্কিন ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফরগিভনেস অ্যালায়েন্স দিনটি চালু করে।
কিন্তু ক্ষমা করলে সত্যিই কি সুখী হওয়া যায়? গবেষকেরা বলছেন, আলবৎ যায়। এভারেট অর্থিংটন নামের আমেরিকার এক মনোবিজ্ঞানী সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার এক অব্যর্থ দাওয়াইয়ের নাম অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়া। বিশ্বের ৫টি দেশের ৪ হাজার ৫০০ মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই মনোবিজ্ঞানী জানতে পেরেছেন, ক্ষমা করলে মন ভালো থাকে। যারা ক্ষমা করেন, তাদের মধ্যে হতাশা, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ তুলনামূলক কম।
গবেষকেরা জানান, ক্ষমা করলে শত্রুতা কমে। এটি যেকানো মানুষকে মানসিক প্রশান্তি দেয়। একই সঙ্গে শরীরকেও সুস্থ রাখে। কারণ দেহের সঙ্গে মনের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। মন খারাপ থাকলে তাই শরীরও খারাপ হয়। আবার মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে। এভারেট অর্থিংটন বলেন, ক্ষমা মহৎ গুণ। ক্ষমা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কথায় রাগ ও ক্ষোভের মতো নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যকে ক্ষমার মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করলে আপনার মন সুখে ভরে উঠবে।