আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামিন বাড়ছে অপরাধীদের। জামিনে বের হওয়া অপরাধীরা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য। র্যাব বলছে, নির্বাচনের আগে বড় অপরাধীদের জেল থেকে বের করা হচ্ছে। তাঁদের তালিকা করছে গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে থাকা সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে বড় অপরাধীদের জামিন ঠেকাতে আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এক সপ্তাহ আগে, আশুলিয়ায় আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি সাগর, ২০২০ সালের একটি হত্যা মামলায় জেলে ছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায়, টাঙ্গাইলের এক সংসদ সদস্যের ভাই মনির, সাগরের জামিনের জন্য ২৮ লাখ টাকা খরচ করেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করতেই এই সিদ্ধান্ত। গেল ১৮ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ওপর হামলার ছক জেলে বসেই করে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, এক সহযোগীকে জামিনে বের করে, তাঁকে দিয়ে হামলা করায় ইমন।
র্যাবের দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক সন্ত্রাসী, সহযোগীদের জামিন করাচ্ছে। আর পুলিশ বলছে, জামিনে থাকা অপরাধীদের রাখা হয়েছে নজরদারিতে। ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘যারা বারবার অপরাধ করে তাঁদেরকে পুলিশ মনিটরিং করে থাকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’ র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই বের হচ্ছেন জামিনে, সকল গোয়েন্দা সংস্থা মিলে তালিকা করা হচ্ছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলছেন, আইন মেনেই জামিন পাচ্ছেন আসামিরা। ‘১৫ থেকে ২০ বছরের বেশি জেলে থাকা অপরাধীরা জামিনে বের হচ্ছেন।’– বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ। নির্বাচন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অপরাধীদের প্রতি সজাগ থাকার পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার বলেন, ‘বড় অপরাধীরা যাতে জামিনে বের না হয় সে ব্যবস্থা আগে নিতে হবে।’বড় অপরাধ দমনে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।