প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে নতুন ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছেন। মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষে পদ্মা রেল সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছান। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি সড়কপথে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন।
উদ্বোধন কার্যক্রম শেষে অতিথিদের নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এ সময় ট্রেনে বসে এই সেতু ও ট্রেন রুটের সুবিধা ভোগী বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলবেন তিনি। সেখানে দুপুর ২টায় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর আগামী ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা রেল সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে সাধারণ যাত্রীরা। মাওয়া ভাঙ্গা রুটে ১০টির মধ্যে খুলে দেওয়া হচ্ছে তিনটি স্টেশন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বাঁক বদলের নতুন সূচনা হয়। কৃষি, শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার অর্থনীতিতে যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। এবার রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় সম্ভাবনা বাড়ছে আরও বেশি। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। প্রথমভাগে চালু হচ্ছে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে। রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত এই রেলপথকে ঘিরে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১ শতাংশ পর্যন্ত।