ম্যাচের আগে মার্ক উডকে নিয়ে কথা হচ্ছিল অনেক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেদম পিটুনির শিকার হয়েছিলেন এই ফাস্ট বোলার। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ছন্দে ফিরবেন, এই আশা করছিলেন সাবেক অধিনায়ক এউইন মরগান। ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের অন্যদের নিয়েও আলোচনা ছিল। তবে আলোচনায় ছিলেন না রিচ টপলি। প্রথম ম্যাচের তিন পেসার কেউ জায়গা হারাবেন, এমন সন্দেহ যে ছিল না। কিন্তু ইংল্যান্ড চমকে দিয়ে চতুর্থ পেসার হিসেবে ডেকে নিয়েছে বাঁহাতি দীর্ঘদেহীকে। আর তাতে বাংলাদেশের টপ অর্ডার গায়েব পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে।
নিজের প্রথম ওভারেই ধাক্কা দিয়েছেন টপলি। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে অযথা খোঁচা মেরে বিদায় নিলেন তানজিদ হাসান তামিম। পরের বলেই আবার ধাক্কা। এবার অবশ্য পুরোপুরি ব্যাটসম্যানের দায় নয়, বোলারেরও কৃতিত্ব আছে। অফ স্টাম্পের বাইরে একটু সামনে বল ফেলেছিলেন। হালকা সুইং করেছিল, ড্রাইভ করার লোভ সামলাতে না পেরে ফিরে গেছেন শান্ত।
১৪ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ খোঁড়াচ্ছিল, কারণ লিটন একপ্রান্তে বাউন্ডারি পেলেও ধুঁকছিলেন সাকিব। তাঁর যন্ত্রণার অবসান টপলিই করলেন। লেংথে পড়া বল সুইং করবে ভেবেছিলেন সাকিব, কে জানে বোলার নিজেও হয়তো ভেবেছিলেন। কারণ, বল যখন লাইন ধরে রেখে সাকিবের ব্যাট এড়িয়ে অফ স্টাম্প ভাঙল, তখন টপলির অভিব্যক্তিতে আনন্দের সঙ্গে বিষ্ময়ও ছিল। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। আর ৩ ওভার শেষে ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট টপলির। মুশফিকের বদলে মিরাজকে ব্যাটিংয়ে নামানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। লিটনের হাতে বেধড়ক মারের শিকার ক্রিস ওকসের এখন পর্যন্ত সেরা বলটা মিরাজের ব্যাট স্পর্শ করে চলে গেছে বাটলারের কাছে। পাওয়ার প্লের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে প্রথম ১০ ওভারে ৫৭ রান এনে দিয়েছেন লিটন, যার ৪৪-ই তাঁর। ৩৮ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ ছুঁয়েছেন লিটন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৫।