কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চন্দ্রিবেগ গ্রামে সৎ বাবার নির্যাতনে শিশু আরাধ্যা(আড়াই বছর বয়স) দীর্ঘ পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে চলে গেল না ফেরার দেশে । বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতের দিকে ঢামেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান গত ৬ অক্টোবর সৎ পিতার বর্বর নির্যাতনে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে আনা হয় তাকে। দীর্ঘ পাঁচ দিন শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রাতে মারা যায় সে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক মাসুদ রানা বলেন শিশু আরাধ্যার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুর সৎ পিতা চাঁদুল্লাহকে শিশু নির্যাতনের মামলায় আমরা গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করি। শিশুর মেডিকেল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে মহামান্য আদালতে তা দাখিল করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য গত ৬ অক্টোবর সৎ পিতার বর্বর নির্যাতনে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
শিশুর খালা মোছাঃ পাখি বেগম জানান শিশু আরাধ্যা কে নিয়ে তার মা নিয়াশা আক্তার পূর্বের স্বামী মিঠুনকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন করে তিন মাস আগে চাঁদুল্লাহকে বিয়ে করে জীবন শুরু করেন।গত ৫ অক্টোবর বিকেলের দিকে সৎ পিতা চাঁদুল্লাহ শিশু আরাধ্যাকে বিনা কারণে মারধরসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা জখম ও যৌন নির্যাতন করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্হানীয় একটি হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। দীর্ঘ পাঁচ দিন শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে অচেতন অবস্থায় ছিল আরোধ্যা। পরে গতরাতে মারা যায় সে। তিনি আরও জানান এই ঘটনার আমি সঠিক বিচার চাই,ওই লম্পটের ফাঁসি চাই। যাতে আর কোন শিশুর সাথে এইরকম জঘন্য কাজ সে না করতে পারে।