রাজধানীর একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ১৮ বছর বয়সী যুবক রাতিনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মানসিক সমস্যা নিয়ে একমাত্র ছেলেকে চলতি মাসেই হাসপাতালে ভর্তি করেন বাবা নূর মোহাম্মদ। কথা ছিল মাসখানেকের মধ্যেই ঘরে ফিরবেন সুস্থ হয়ে। কিন্তু মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানেই পেলেন ছেলের প্রাণহীন দেহ।
পরিবার জানায়, ভর্তির উদ্দেশে প্রথমে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে যান। তবে দালালের খপ্পরে পড়ে রাতিনকে ভর্তি করেন শ্যামলীর নিরাপদ মানসিক হাসপাতালে। এর মধ্যে বারবার ছেলেকে দেখতে গেলেও সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খবর পান রাতিন লাফিয়ে পড়েছে হাসপাতালটির সাততলা থেকে। গুরুতর অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে রাতিনকে। কেননা, প্রথম দিকে রাতিনকে নিজেদের রোগী মানতেই অস্বীকৃতি জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরে-ই-বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, রাতিন নামে এক যুবককে
শেরেবাংলা নগর এলাকার বেসরকারি নিরাপদ মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে ওই যুবকের পিতা-মাতা। পরে আমরা জানতে পারি যুবকটি নাকি ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে। অপরদিকে যুবকের পিতা-মাতার অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ পেয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ও যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে হাসপাতালটিতে যোগাযোগ করলে ঘটনার দায় অকপটে স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। যদিও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মানতে নারাজ নিরাপদ মানসিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. কবিরুল হক, তারা দাবি এটি নিছক দুর্ঘটনা।