আজ শনিবার(১৪ই অক্টোবর) ভোরের দিকে এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি কন্যা নবজাতক এবং একটি পুরুষ নবজাতক মারা যায় । উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল আমির উদ্দিন মামুন ও মানসুরা আক্তার দম্পতি। ভূমিষ্ঠ হওয়া পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে ও চারটি মেয়ে।এর মধ্যে একটি মেয়ে নবজাতক জন্মের কিছুক্ষণ পরেই মারা যায়। পরে ১৩ ই অক্টোবর বুধবার রাত বারোটার দিকে আরো একটি কন্যা নবজাতক মারা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের অবস্ এন্ড গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সুলতানা আফরোজ শিলা। তিনি বলেন নবজাতক গুলি ২৭ সপ্তাহে ভূমিষ্ঠ হওয়ার তাদের সবারই ওজন কম এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তাই তাদেরকে আমরা এনআইসিইউ তে অবজারভেশনে রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, নরসিংদী থেকে ওই নারী গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। এরপর তিনি ৫ নবজাতকের জন্ম দেন।এদের মধ্যে চার মেয়ে ও এক ছেলে নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।জন্মের সময় এক কন্যা নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে ১৩ ই অক্টোবর রাত বারোটার দিকে মারা যায় আর এক কন্যা নবজাতক। এরপর আজ ১৪ই অক্টোবর ভোরের দিকে মারা যায় আরো দুই নবজাতক। এরমধ্যে একটি ছেলে ও একটি কন্যা নবজাতক ছিল। এখন বাকি একটি কন্যা নবজাতক এন আই সি ইউ তে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নবজাতকদের জন্ম দেয়া ঐ নারী ২১০ ওয়ার্ডে অবজারভেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।
ওই পাঁচ সন্তান জন্ম দেওয়া মানসুরার স্বামী আমির উদ্দিন মামুন জানান পেশায় আমি একজন সিএনজি চালক। প্রথমে খুব চিন্তায় ছিলাম এই সন্তানগুলি আমার অভাবের সংসারে কি করে মানুষ করব। তারপর ভেবেছি যা হবার হবে আল্লাহ চাইলে কষ্ট করে হলেও তাদেরকে মানুষ করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার একে একে চারটি শিশু আমার মারা গেল। আমি শিশুদেরকে আমার গ্রামের বাড়িতে দাফন করেছি। এখন বাকি রয়েছে আর একটি কন্যা নবজাতক। জানিনা ঢাকায় গিয়ে তার মুখটা দেখতে পারবো কিনা।