রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেড়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শাহ আলম (৩৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খুন হয়েছেন। শাহ আলম সাভারের মোগড়াকান্দা এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে। বর্তমানে দারুসালাম লালকুঠি ২য় কলোনির নুর ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতো। শনিবার(১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত বারোটার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহ আলমের বোন মামনি ভূঁইয়া মনি জানান শনিবার উত্তরার কাওলায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ ইসলামের সমর্থকের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নাবিল খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৮ টার দিকে মিরপুর মাজারের বিপরীতে নাবিল খানের ব্যক্তিগত অফিসে হামলা চালায় ইসলামের লোকজন। পরে মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে আবারও হামলা করে ইসলামের লোকজন। এ সময় রাত ৯ টার দিকে সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে শাহ আলমকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করা হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান।
ইসলাম স্বেচ্ছাসেবক লীগ দারুস সালাম থানার সাবেক সভাপতি ও নাবিল খান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ।
নিহত যুবক নাবিল খান গ্রুপের অনুসারী। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা অটো রিক্সা চালক লিমন জানান ছুরিকাঘাতে আহত শাহ আলমকে দারুস সালাম থানার বদ্ধনবাড়ির রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে নিজের অটোতে তুলে মিরপুরের সেলিনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতাল এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শাহ আলমের মৃত্যুর খবর শুনে কয়েকশো নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেলে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিনি দারুস সালাম ১০ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) পরিদর্শক (তদন্ত) এবং পরিদর্শক অপারেশনসকে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। এলাকাবাসীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর আগেও বেশ কয়েক বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এলাকায়। মূলত লেগুনার চাঁদার ভাগাভাগি এবং আধিপত্য নিয়েই তাদের দ্বন্দ। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান আহত যুবক শাহ আলমের কোমর ও পায়ের পেছনে ছুরিকাঘাতে রক্তনালি কেটে গেছে। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।