নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার খানসহ ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদি বই ও বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা জেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দক্ষিণ রাঘবপুরের আব্দুল গাফ্ফার, উপজেলা জামায়াতের আমির ও ডেমরা কেটি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও আবু তালেব, একই মাদ্রাসার সহকারী সুপার ও উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মাও. আফজাল হোসেন, বনওয়ারীনগর বাজারের ব্যবসায়ী মিরাজুল ইসলাম, কাপড় ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, পুংগলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, আল্লাহ আবাদ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক, ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে অপারেটর ফরিদুল ইসলাম মুকুল, দিঘুলীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান, বনওয়ারীনগর বাজার ব্যবসায়ী আব্দুল মমিন, কেনাই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক রাসেদুল ইসলাম, কালিয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান ও পুংগলী দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার আব্দুল হামিদ।
ফরিদপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারী নগরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণে একটি টিনের দোকানে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করছিল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদী বই, রিপোর্ট বই ও নথিপত্র জব্দ করা হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সেখানে তারা নাশকতা ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকে জামায়াতের ১৩ জন রোকন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে পাবনা কারাগারে পাঠানো হবে।