ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহনে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের নামে চলছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি উদ্বিগ্ন পূজা উদযাপন পরিষদ। চলমান শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনের সময় ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান পক্ষের কর্মসূচি, মহড়া ও বহিরাগত অবস্থানের প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জননিরাপত্তা সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন দুই উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার তজুমদ্দিন ও লালমোহন উপজেলা থেকে পৃথকভাবে এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সুত্র জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে ভোলার লালমোহন এবং তজুমদ্দিনে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ চলমান রেখেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহণ করছেন স্থানীয় এমপি শাওন। যার অংশ হিসেবে ২০ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ খাসেরহাট বাজারে শম্ভুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, ২২ অক্টোবর লালমোহন-তজুমদ্দিনে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের নামে কর্মসূচি দেন ভোলা-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নব্ মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। ফলে লালমোহন-তজুমদ্দিনে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এই পরিস্থিতিতে চলমান শারদীয় দুর্গাপূজা পালনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দুই উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, ২১ থেকে ২৪ অক্টোবর শারদীয় দুর্গা পূজা চলমান রয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে নতুন করে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার শান্তি সমাবেশের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। হুন্ডা মহড়া, বহিরাগতদের আনাগোনা ও বিভিন্ন গুজবে এলাকায় আতঙ্কিত অবস্থার সৃষ্টি হয়।
অভিযোগের বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভদেব নাথ জানান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ পক্ষ থেকে নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তজুমদ্দিন থানা পুলিশকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।