অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গতকাল শনিবার রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার পর গাজা এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল বাহিনী। এমনকি পশ্চিম তীরের একটি মসজিদের ওপরেও বোমা বর্ষণ করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘গাজার স্থল অভিযান শুরু করার আগে আমরা বোমা হামলা আরও জোরদার করব। কারণ আমরা আমাদের সেনাদের ঝুঁকি কমাতে চাই। এ কারণে আমি গাজার বাসিন্দারের দক্ষিণ দিকে সরে যেতে অনুরোধ করছি।’
গাজার বাসিন্দারের দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও ইসারায়েলের বিমান বাহিনি বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। গতকাল হামাস জানিয়েছে, দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৯জন নিহত হয়েছেন। এদিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেখানে অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকেরা।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, আজ রোববার ভোরে তারা পশ্চিম তীরের আল-আনসার মসজিদে অভিযান চালিয়েছে। কারণ হামাস যোদ্ধারা মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং সেখানে বসে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করছিল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ১৬ দিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন।
এর মধ্যে গতকাল শনিবার মিসরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর সেখান দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে গাজায়। খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াও এসব ট্রাকের একটিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনও। কিন্তু গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য মাত্র এই ২০ ট্রাক ত্রাণ সাহায্যকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।