গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দুই সপ্তাহে ২২ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফিলিস্তিনের ১৮ জন, ইসরায়েলের তিনজন ও লেবাননের এক সাংবাদিক রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস-সিপিজে। এর মধ্যে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ সাংবাদিক নিহত হয়েছে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নিহত রয়টার্স সাংবাদিক ইসাম আব্দুল্লাহর স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন তার স্বজন ও বন্ধুরা। এসময় সাংবাদিক হত্যা বন্ধের দাবি জানান তারা।
১৩ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তের কাছে লাইভ রিপোর্ট করার সময় ইসাম আব্দুল্লাহ নিহত হন। একই হামলায় রয়টার্স, আল জাজিরা ও এএফপির দুজন করে সাংবাদিক আহত হন। গাজায় ইসরায়েলের হামলার মধ্যে সাংবাদিকদের প্রাণহানি, আহত, আটক বা নিখোঁজ হওয়ার সব ঘটনা তদন্ত করে দেখেছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস-সিপিজে। তাদের হিসাবে, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ২২ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েলি বিমান হামলাকে দায়ি করেছে সংগঠনটি। এছাড়া সংঘাতে পড়ে ৮ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনজন নিখোঁজ বা আটক রয়েছেন। বর্তমানে গাজায় জীবন বাজি রেখে সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে বলে জানায় সিপিজে। সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল হামলার ঝুঁকি, নির্বিচার বিমান হামলা, যোগাযোগব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়া ও বিদ্যুৎ-সংকটের জেরে কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটির শেরিফ মনসুর বলেন, যুদ্ধের মধ্যে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। যুদ্ধের সময় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।