গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন,কাকরাইল এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মুরাদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মুরাদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) র্যাব-৭এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়—কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৭ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলানং-৫৪, তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৩,ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/ ৩২৩/৩৩৩/৩০২/৩৫৩/৪২৭/১০৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ৱ্যাব গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭ সোমবার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে।সে বর্ণিত মামলার ১৬৩ নং এজাহার নামীয় আসামি। ৱ্যাব সূত্রে জানা যায় আসামি মুরাদ চৌধুরী (৩৮) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং উত্তর চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পূর্ব সরফভাটা গ্রামের মোহাম্মদ আলী পুত্র।
ৱ্যাব আরো জানান,সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানা, চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, বেআইনি সমাবেশ, নাশকতা, হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ০২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে এবং আটককৃত মুরাদ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলায় অংশগ্রহণ করেছে।পরে মুরাদকে র্যাব রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।