লক্ষ্মীপুরের সদরে বাবার দেয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছে আয়েশা আক্তার নামে এক শিশু। এ ঘটনায় তার মা ও ভাই দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পুরান চতইল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- সুমাইয়া আক্তার (৩৫) ও তার শিশুপুত্র আবদুর রহমান (৩)। গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ দুপুরের পর পাঠানো হয়েছে।নিহত শিশু আয়েশা ওই এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন আজ দুপুরের পর দগ্ধ অবস্থায় মা ও ছেলে আমাদের জরুরী বিভাগে আসে। এদের মধ্যে মা সুমাইয়া ৮০% এবং তার শিশু পুত্র আবদুর রহমান ৭০% দগ্ধ হয়েছে। তাদের দুজনেরই শ্বাসনালী পোড়া আছে এবং দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ কামালের স্ত্রী সুমাইয়ার স্বজনরা জানান, শিকপুর ডিএসইউ কামিল মাদ্রাসার দফতরি পদে চাকরি করেন তিনি। স্বামী কামাল হোসেন পেশায় অটোরিক্সাচালক।মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া চলতো কামালের। ভোরে তাদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা যান। এরপর তাদের কাছেই কামাল স্বীকার করেন, পেট্রোল দিয়ে তিনি নিজেই বসতঘরে আগুন দিয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা কামাল হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেন বশিকপুর ইউনিয়নের পুরান চতইল্লার বাড়ির আমিন উল্ল্যাহর ছেলে।