সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি সপ্তাহেই তিনি এই সফরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদ আউটলেট শট তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুতিন প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন। এরপর সৌদি আরব সফর করবেন। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তার আলোচনা হবে।
উশাকভ বলেন, ‘আমি আশা করি, পুতিন ও সালমানের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আলোচনা হবে। একে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি।’ পুতিন এমন সময় এ সফরে যাচ্ছেন, যখন স্বেচ্ছায় দৈনিক তেল উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়েছে তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস।
রয়টার্স বলছে, ওপেক প্লাসে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছাড়াও পশ্চিমা বলয়ের বাইরের দেশগুলোর সাথে বৈশ্বিক জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন পুতিন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী তিনি। এর মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমেরিকা ও তার মিত্রদের রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা যে ব্যর্থ হয়েছে, সেটিই দেখাতে চান পুতিন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এরপর থেকেই পুতিন বিদেশ সফর কমিয়ে দেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে শুধুমাত্র সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশে সফর করেছেন।
তবে আইসিসি তার বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। এ ছাড়া সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আইসিসির সদস্য নয় ফলে পুতিনের গ্রেপ্তারের আশঙ্কাও নেই।