বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্রিটিশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বঙ্গবন্ধু লেখক এবং সাংবাদিক ফোরাম ইউকের পক্ষ থেকে ১০ নং ডাউনিং ষ্ট্রিটে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
“আগামী ৭ই জানুয়ারী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী অপশক্তি নাশকতা করতে পারে” এই আশংকার কথা জানিয়ে এবং “বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে ভোট প্রদান করতে পারে” সেজন্য ব্রিটিশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিটি টেন ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছে দেন। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, উপদেষ্টা সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, “বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ সরকার অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে বাংলাদেশের জনগন আশাবাদী। ৭২ সালের জানুয়ারী মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসার পর বিট্রিশ সরকারের ভূমিকা বাঙ্গালী জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।”
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করেন, “২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, বিএনপির কর্মীরা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।তারা রমনা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভাঙচুর করে। তারা দৈনিক বাংলার কাছে এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে, জরুরি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করে। বিএনপি কর্মীরা নির্দয়ভাবে গণপরিবহন ভাংচুর ও আগুন দিয়ে যাত্রীদের গুরুতর আহত ও যানবাহন ভাঙচুর করে।
তারা বেইলি রোডের ইন্সটিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ব্যবসায়িক সম্পত্তি ভাংচুর করে। তারা পুলিশ ও নিরীহ পথচারীদের লক্ষ্য করে ককটেল বোমা ও ইট নিক্ষেপ করে, শহরের বিভিন্ন স্থানে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও নিরীহ নাগরিককে আহত করে। এই সমস্ত সহিংসতা এবং ভাংচুর রেকর্ডে ছিল এবং প্রিন্ট এবং মিডিয়া সাংবাদিকদের দ্বারা কভার করা হয়েছিল। বিনা উসকানিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ভয়াবহ সহিংসতা, নিরপরাধ নাগরিক, গণমাধ্যম পেশাজীবী এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং তার মিত্ররা হাজার হাজার অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে যে সন্ত্রাস চালিয়েছিল, তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গণপরিবহন ও প্রাইভেট যানবাহন এবং যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যাসহ অসংখ্য নিরীহ প্রাণ। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উন্নীত করার বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি বাংলাদেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে।বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাজ্যকে আহ্বান জানাই।”