হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কৈলাশগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা ও বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের গাড়ী চালক শেফন মিয়ার জনৈকা (৮) বছরের এক শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ এ ঘটনায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দাযের করেন৷ এতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক৷ শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার খবরে এলাকায় আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে৷ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে ধর্ষিতার পিতা অভিযোগ করেন৷

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ও মামলার এজাহারে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ বাজারের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা ও বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রে নিয়োজিত একটি গাড়ি চালক পৌর এলাকার শিবপাশা গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার পুত্র শেফন মিয়া বলেন, গত ৩০ আগষ্ট বিকাল ৫টায় তার শিশু কন্যা (৮) অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধুলার একপর্যায়ে কৈলাশগঞ্জ বাজারের নিকটবর্তী কল্যাণপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আবু বক্করের বাড়ির গোয়াল ঘরের সামনে যাওয়া মাত্রই শিশু মেয়েটির মুখে চাপ দিয়ে ধরিয়ে গোয়াল ঘরের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে৷ এ ঘটনায় শিশু মেয়েটির রক্তক্ষরণ হলে তার সৎ মা ও প্রতিবেশীদের বিষয়টি অবহিত করে ধর্ষিতা শিশুটি৷ এ নিয়ে তৎকালীন সময়ে ধর্ষিতার পিতা নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন৷

অবশেষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-৩ এ একটি মামলা দায়ের করেন৷ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত৷ এরই প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই বাপ্পু বন্যি তার সঙ্গীয় পোর্স নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন সবকিছু বলা যাবেনা। তবে, এ ঘটনাটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে৷ অপরদিকে ধর্ষিতার পিতা ও তার পরিবার ধর্ষকের কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট৷