অভিবাসী কমানোর পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়া। এ লক্ষ্যে দেশটি বিদেশি স্টুডেন্টদের ভিসা এবং কম দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের ক্ষেত্রে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করবে। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। নতুন নীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে উচ্চ দক্ষতা প্রয়োজন হবে। এই দক্ষতা বিদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘমেয়াদের থাকার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
অস্ট্রেলিয়া বলছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে তারা অভিবাসী অর্ধেক করতে পারে। বর্তমানে দেশটির ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থাকে সংশোধনের চেষ্টা করছে তারা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২–২৩ সালে নেট অভিবাসন ৫ লাখ ১০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারীতে কঠোর সীমান্ত নীতি গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মীর ঘাটতি পূরণে অস্ট্রেলিয়া গত বছর তার বার্ষিক অভিবাসী সংখ্যা বাড়ায়। সেই হিসেবে এই বৃদ্ধিকে অবশ্য স্বাভাবিক বলছে দেশটি।
অভিবাসী কমাতে ভিসানীতি কঠোর করল যুক্তরাজ্যঅভিবাসী কমাতে ভিসানীতি কঠোর করল যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের অভিবাসন ব্যবস্থায় ভারসাম্য রাখার জন্য আমরা সবসময় কাজ করছি। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী অভিবাসন নীতির সংস্কারগুলো এরই মধ্যে নেট বিদেশি অভিবাসনের ওপর নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করছে। সংস্কারগুলো অভিবাসী কমাতে আরও সাহায্য করবে।
ও’নিল জানান, ২০২২–২০২৩ সালে নেট বিদেশি অভিবাসন যা বেড়েছে, এর বেশিরভাগই বিদেশি স্টুডেন্টদের কারণে। আমেরিকায় থাকা অবৈধ ভারতীয়র সংখ্যা ৭ লাখ ২৫ হাজারআমেরিকায় থাকা অবৈধ ভারতীয়র সংখ্যা ৭ লাখ ২৫ হাজার।এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, দেশের অভিবাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অভিবাসন ব্যবস্থাকে একটি টেকসই স্তরে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।