পিরোজপুর ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের কর্মিসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সদর উপজেলার বটতলা এলাকায় নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহত লালন ফকির (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান নিহত লালনের বাবা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিরোজপুর শহরে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছেন।
লালন ফকির (২৭) সদর উপজেলার মধ্যে ডুমুরিতালা এলাকার আব্দুল হান্নান ফকিরের ছেলে। তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের কর্মী ছিলেন। নিহতের বাবা বাবা হান্নান ফকির বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের কর্মিসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নের কুমিরমরা ফেরিঘাটে একই এলাকার বাবু শেখের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল লালনকে ধাওয়া করে। সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর সময় হামলাকারীরা লালনকে আটক করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
এরপর তাঁকে মৃত ভেবে পাশের একটি ডোবায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে গতকাল রোববার ঢাকায় নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যু হয় লালনের। সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি জানান, নৌকার সমর্থক বাবু শেখের নেতৃত্বে লালন ফকিরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় লালন ফকির ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মারা গেছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বলেন, লালন ফকির নামের একজনের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে হত্যা মামলা নেওয়া হবে। পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল।