বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা ১১ দফা অবরোধের প্রথম দিনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল ও পিকেটিং করেছেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বাংলামোটর থেকে মিছিল শুরু করে কারওয়ান বাজার সোনারগাঁও মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ করেন তারা।
এ সময় সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন তারা।মিছিল থেকে রিজভীর নেতৃত্বে পিকেটিংও করেন নেতাকর্মীরা। এদিকে অবরোধ সমর্থনে ধানমন্ডিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এরপর তারা ধানমন্ডিতে সড়ক অবরোধ করেন।
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।
এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. খোন্দকার আকবর হোসেন (বাবলু), কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতা ডা. শরীফুল ইসলাম, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।
এছাড়াও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, সাবেক কাউন্সিলর ও রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নিলু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সদস্য এ.এস.এম. জাহিদ সাগর, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি মাহবুব মিয়া সহ আরও অনেকে।
এদিকে সকাল থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। এছাড়া রাজধানী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার গণপরিবহনও। বেলা বাাড়ার সাথে সাথে সড়কে বাড়তে থাকে গণপরিবহনের সংখ্যাও। অবরোধে যে কোনো নাশকতা সহিংসতা প্রতিরোধে রাজধানীর সড়কে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। উল্লেখ্য, ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে অবরোধের ডাক দেয় দলটি। এখন চলছে ১১ দফা অবরোধ। এরইমধ্যে হরতালও পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনারা।