চায়ের রাজধানী চা বাগান-অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই শীত জেঁকে বসতে শুরু করে। রাত যত গভীর হয় শীতের প্রকোপ ততই বাড়তে থাকে। ভোরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। এতে ছিন্নমূল মানুষ ও চা শ্রমিকরা তীব্র শীতের কবলে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
অর্থাভাবের ধরুন শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না নিম্নআয়ের অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে চা বাগান এলাকার চা শ্রমিকরা সকালের দিকে গাছের পাতা, লাকড়ি কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় রাতে গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ। রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যতই দিন যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে শ্রীমঙ্গলে রোগব্যাধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে শীতকালীন জনিত রোগ ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান বলেন চলতি সপ্তাহ থেকে উপজেলায় শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও কমে আরও তীব্র ঠাণ্ডা হতে পারে।