দেশের জনগণের সমর্থন হারিয়ে বিএনপি এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতিরা রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনসমর্থন নেই বলে তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছিলো। সেই দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছি। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করাই সরকারের এখন মূল লক্ষ্য বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কোনো জবরদস্তি না করে, তাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার পরদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইশতেহারের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, নাগরিক, সমাজ ও অর্থনীতি হবে স্মার্ট, এটাই ইশতেহারের মূল কথা। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। আর আগামী পাঁচ বছরে আরো এক কোটি কর্মসংস্থান তৈরি এবং সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলা গড়তে চায় দলটি।
চার স্তম্ভে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আওয়ামী লীগেরচার স্তম্ভে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথ-পরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। ‘আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড-পরিচালনা কররো।’
শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে যে সৎ সাহস দেখিয়েছেন, তার তুলনা নেই। এতো উন্নয়ন করার পরেও বলেছেন, আমাদের কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে হয়ে থাকতে পারে। এদিকে যে সব প্রার্থীর আয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের পরে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের বাজেট বেড়েছে ১২ গুন। ফলে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে। তবে কারো সম্পদ দৃষ্টিকটু ভাবে বাড়লে, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। ‘এই মুহূর্তে ব্যবস্থা না নিতে পারলেও নির্বাচনে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।