র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী ০২টি ফিশিং বোটযোগে বড় ধরণের ইয়াবার চালান নিয়ে সমুদ্রপথে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন খুরুশকুল ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ড এলাকার আশ্রয় প্রকল্প এর সামনে বাঁকখালি নদীর চরের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ রাত অনুমান ০৩.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত ফিশিং বোটে থাকা মাদক কারবারী ও মাদক ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নদীর পাড়ে অপেক্ষমান কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মাহমুদুল হক নামে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত বোটের ভিতর বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও ০২টি ফিসিং বোট তল্লাশী করে বোটে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত মাছ রাখার বক্সের ভিতর হতে সর্বমোট ১,৪০,০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ০২টি মোবাইল ফোন ও ০২টি সীম কার্ড উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ০২টি ফিসিং বোট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় মাহমুদুল হক (৫৩), পিতা-মৃত সিদ্দিক, মাতা-ফাতেমাতুজ্জোহরা, সাং-উত্তর নুুনিয়ার ছড়া, ২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। ধৃত মাদক কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীরা একটি মাদক কারবারী চক্র। তারা পরস্পর যোগসাজশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বোটযোগে নিয়ে আসে এবং নিজের হেফাজতে মজুদ করে। পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক অজ্ঞাত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।