আর কয়েক ঘণ্টা পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভোটের আগে মিট দ্য প্রেস- অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার সুস্পষ্ট কোনো মানদণ্ড থাকে না, এটা আপেক্ষিক বিষয়। আমরা নির্বাচন সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করবো।
দেশি-বিদেশি ভোট পর্যবেক্ষক থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হোক। তারাই বিষয়টিকে ফুটিয়ে তুলবে। আমরা আশাবাদী এবারের নির্বাচন দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া আমাদের কাজ নয়। এর সুরাহা রাজনীতিবিদরাই করবেন। সংসদে কারা বিরোধীদল হবে-এ প্রশ্নের কবাবে তিনি বলেন, সংসদের বিরোধী দল কে হবে সেটা কমিশনের বিবেচ্য বিষয় নয়। সংসদই ঠিক করবে, কে বিরোধী দল হবে। এমন প্রশ্ন আমাদের করাও হয়নি।
‘একটি বড় দল নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থেকেছে। ওই দলটি আমাদের বিশ্বাস দিয়েছিলো তারা শান্তিপূর্ণ অবরোধ করবে। আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম,’ বলেন সিইসি। একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আগুনের ঘটনাটি গুরুতর অপরাধ। আলোচনা করে সমাধান করবে দলগুলো। এটার দায়িত্ব কমিশনের না।’ আগুনের ঘটনাগুলো নির্বাচনে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে কি না- এ প্রশ্নে সিইসি বলেন, কে আগুন লাগিয়েছে তা জানি না। সহিংসতার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টাও হতে পারে। সেটি অপরাধ।
বাংলাদেশে নির্বাচন সবসময়ই উৎসব হলেও এবার একটি বিরোধী দলের কারণে কিছুটা সংকট দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, ভোটাররা সহিংসতার বিষয়ে অবগত। এটি চলতে থাকলে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব পড়বে। সবাইকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়া এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখার আহ্বান জানান হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচন সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয় না। অনেক ভোটার ও প্রার্থীর আবেগ কাজ করে। ‘ইসি নির্মোহ থেকে আরোপিত দায়িত্ব পালন করবে। একজনের দায় আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেয়া সমীচীন মনে করি না,’ বলেন সিইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসি নির্মোহ থেকে আরোপিত দায়িত্ব পালন করবে। একজনের দায় আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেওয়া সমীচীন মনে করি না। পেশিশক্তির ব্যাপক যে ব্যবহার হয় সেখানে আমাদের কিছু দায়ভার থাকতে পারে। তিনি বলেন, ইসিকে অসীম ক্ষমতাধর মনে করা হয়। কমিশনের দায়দায়িত্ব সংবিধান ও আইন দ্বারা নির্ধারিত।