বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় এক যুবকের বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার একটি ছবি দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। যুবকের নাম মো. নাজমুল মৃধা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গত ২০শে ডিসেম্বর তার বাড়ির সামনে থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাকে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠায় আদালত।
গত শুক্রবার রাতে নাজমুলের পিতা মোতালেব হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশালের একটি হাসপাতালে মারা যান।পিতার মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে আইনজীবীর মাধ্যমে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করে নাজমুলের পরিবার। পরে তাকে পাঁচ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেন আদালত। গত শনিবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী গ্রামে জানাজায় অংশ নেন নাজমুল এবং ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়ই জানাযায় অংশগ্রহন করে তিনি। জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশ বিএনপি’র ছাত্র সংগঠনের উপজেলা ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল। ঘটনাটিকে বর্বরতা আখ্যা দিয়ে আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই ঘটনা সভ্যতার সাথে অনুপযোগী। কোনও সভ্য সমাজে এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না বলেও মন্তব্য করছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে যেভাবে ডান্ডাবেরি পরিয়ে দিয়েছে, তারা সেভাবেই জানাজায় হাজির করেছে।”ঐ ডান্ডাবেরির চাবিও আমাদের কাছে দেওয়া হয় নি। যে কারণে ডান্ডাবেরি খোলা সম্ভব হয়নি”, জানাচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের দায়িত্ব ছিলো শুধুমাত্র নিরাপত্তা দেয়া। আমরা শুধু সেই নিরাপত্তাই দিয়েছি। ওরা আমাদের যেভাবে দিয়েছে, তাকে সেভাবেই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রথম জানাজায় অংশগ্রহণ শেষেই পটুয়াখালী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় নাজমুলকে। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তার পিতার মরদেহ।