জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ,ভাষা সৈনিক ও সাংসদ।১৫ জানুয়ারি ১৯২৫, গুলিসাখালী, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত বর্তমান বাংলাদেশে মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।ডাক নাম ছিলো পান্না মিয়া। তার তিন সন্তান দুই ছেলে ও এক মেয়ে।তার স্ত্রী ছিলেন রেবেকা মহিউদ্দিন,তিনিও ২০১৮ ইং সনে মৃত্যুবরণ করেন।
তার রাজনৈতিক দল ছিলো ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। মহিউদ্দিন আহমেদপর পিতা প্রাক্তন এমএলসি আজাহার উদ্দিন মিয়া (১৯২০-১৯২৬)।
মহিউদ্দিন আহমেদ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন,মাতৃ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক।পূর্ব পাকিস্তানে ও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্রিটিশ-পরবর্তী পাকিস্তান আমলের শুরুতে তিনি মুসলিম লীগের কর্মী ছিলেন। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সর্বশেষ তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িয়া থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন।
স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি বিলুপ্ত বাকেরগঞ্জ-১৮ আসন থেকে ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে(১৯৭৩ – ১৯৭৫), দ্বিতীয় বার ১৯৭৯ সালে বাকেরগঞ্জ-১৭ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন(১৯৭৯ – ১৯৮২),ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন (২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সাল)।
সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ পরিচিতি লাভ করেন।মহিউদ্দিন আহমেদ ১২ এপ্রিল ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করে। তাকে ঢাকাস্থ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। “রিলাক্স নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে এই জাতীয় নেতার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা” সবাই তার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করবেন।