শেরপুর সদর (১) আসনের নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. ছানুয়ার হোসেন ছানুকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলার শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে ওই গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ওইসময় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা আমাকে নেতা বানিয়েছেন, আমি আপনাদের কামলা হিসেবে কাজ করতে চাই। আমাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবেন। আমার কারও প্রতি কোন রাগ, অভিমান বা হিংসা নাই। সকলকে সাথে নিয়েই আল্লাহর রহমতে কাজ করে যেতে চাই। আমি আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা, পরামর্শ ও সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ এলাকা বলে আপনারা ভাগ করবেন না। আমি উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি এলাকাই সমানভাবে দেখব। এইভাবে শেরপুরকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক সম্পর্কে বলেন, উনি আমার বয়সে বড়, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আমি সাধারণ সম্পাদক। আমি তাকে সম্মান করি। তিনি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিলেন। উনার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমার জন্যও দোয়া করবেন। মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে। আমি কখনও ঝগড়া-ফ্যাসাদে যাব না।
শপথ গ্রহণের পর নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানুর শেরপুর আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর জেলার নকলা সীমান্তে পৌঁছলে তাকে বিশাল গাড়ির বহরযোগে স্বাগত জানান নেতা-কর্মীরা। ওইসময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পথসভা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। পরে গাড়ির বহর তাকে নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
ওইসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাটসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।