স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে নাকি প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে তা নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে না পারলেও বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেয়া হবে কিনা বা প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করে ২০১৫ সালে দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হয়। এরপর থেকে ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ বাড়ছে এবং বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শুধু ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০২১ ও ২০২২ সালে এক হাজার ৪২৮টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যাতে ১৭ হাজার ২৮১ জন আহত এবং ২৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীক দেয়ার তাত্ত্বিক ভিত্তি নিয়েও বিতর্ক চলছে। এরি মধ্যে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহের আগেই দেশে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।
আর উপজেলা নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দলীয় প্রতীক থাকবে কিনা তা নিয়েও গুঞ্জন বেড়েছে। এদিন দেশে সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিভেদ নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিভেদ থাকেই। নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব, বিভেদ মেটানো এটা আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ দলীয়ভাবে মোকাবেলা করা হবে।
‘শেখ হাসিনার প্রশ্নে দলে কোনো দ্বন্দ্ব, সংঘাত, বিভেদ নেই। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত মিটিয়ে ফেলা হবে,’ বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ষড়যন্ত্রের কথা না বলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতিটি মন্ত্রণালয় বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।