স্নায়ুযুদ্ধের পর ৯০ হাজার সেনাসদস্য নিয়ে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে ন্যাটো। ‘স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ শীর্ষক এ মহড়া আগামী সপ্তাহে শুরু হবে; চলবে মে মাসজুড়ে। বৃহস্পতিবার ( ১৮ জানুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ক্যাভোলি। খবর আলজাজিরার।
ক্যাভোলি জানান, এ মহড়ার মধ্যদিয়ে ন্যাটোর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথমত, রাশিয়া আক্রমণ করলে ন্যাটো কীভাবে তার জবাব দেবে, সে বিষয়ে কয়েক দশক ধরে যে পরিকল্পনা এ পশ্চিমা জোটটি করে আসছে সে বিষয়েই প্রথমে মহড়া করা হবে। ন্যাটো তাদের মহড়ায় রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। কিন্তু এর শীর্ষ কৌশলগত নথিতে রাশিয়াকে ন্যাটো দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি বলে মনে করা হয়েছে।
ন্যাটো জানায়, ৫০টির বেশি বিমানবাহী রণতরী এ মহড়ায় অংশ নেবে। আরও অংশ নেবে ৮০টির বেশি জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন এবং অন্তত ১১শ যুদ্ধযান। এর মধ্যে ১৩৩টি ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনীর লড়াইয়ের জন্য ৫৩৩টি যুদ্ধযানও থাকবে। এ বিষয়ে ক্যাভোলি বলেন, ‘মহড়ায় একে অন্যকে রক্ষা করতে আমাদের একতা, আমাদের শক্তি এবং আমাদের একাগ্রতার প্রদর্শন হবে।’
জোটের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, উত্তর আমেরিকা ও জোটের অন্যান্য অংশ থেকে কীভাবে দ্রুত ফোর্সকে প্রস্তুত করা ও নিয়োজিত করা যায় সে বিষয়ে ন্যাটোর সক্ষমতার প্রদর্শন থাকবে স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪ শীর্ষক মহড়ায়। এতে অংশ নেয়া সেনাসদস্যরা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও সুইডেন থেকে আসবে। কারণ সুইডেনের দ্রুত ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। ন্যাটোর হিসেবমতে, ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময় একই ধরনের মহড়া ‘রিফর্জার’ চালানো হয়েছিল। তাতে অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার সেনা। আর ২০১৮ সালে ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা।