খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আরিফুল আমিন ও মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ কামরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গুইমারা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূঁঞা ও সেনাবাহিনীর ১৫ ফিল্ড রেজিঃ আর্টিঃ মাটিরাঙ্গা জোনের ক্যাপ্টেন রাহফিন আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪টি কার্তুজ সহ রীতি বাবু ত্রিপুরা (প্রকাশ শান্ত) নামে একজন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুইমারা থানা পুলিশ ও ১৫ ফিল্ড রেজিঃ আর্টিঃ মাটিরাঙ্গা জোনের সেনাবাহিনীর একটি যৌথ টহলদল গুইমারার কবুতরছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরী ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, চাঁদা আদায়ের রশিদ ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। আটককৃত রীতি বাবু ত্রিপুরা (প্রকাশ শান্ত) খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার মাইরুং পাড়া এলাকার হেমেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে বলে জানায়। সে পাহাড়ের শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ‘র চাঁদা আদায়কারী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ‘র চাঁদা আদায়কারী স্বীকার করে। মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ কামরুল হাসান বলেন, মাটিরাঙ্গা জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কোন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের স্থান নেই। পাহাড়কে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্ধপরিকর। অস্ত্রসহ আটককৃত ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুইমারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।”